জপমালা ঘোষ রায়


 

তৃষ্ণার ক্যালরি বিতৃষ্ণার টক্সিনস -১৩

জপমালা ঘোষ রায়


এই যে ককটেল, হ্যাংওভার বমন, তার মানে এই নয় যে বপন কোনোদিন আয়ত্তে ছিল না। শাঁখাই ঘাটের গল্পে নদী থেকে উঠে আসছে শাঁখাপরা হাত, উদ্ধারণপুরের দিকে---- অবধূত। বারবার এই স্মৃতি একটু একটু করে ঢেলে নিচ্ছেন সুরে ও সুরায়, অজয় ও গঙ্গা মিশে যাচ্ছে যেখানে, তিনি দেখছেন গেরুয়া ভারতবর্ষ,  তিনি দেখছেন প্রেমের কালচে অতল, ভুড়ভুড়ি কাটছে নাভিকুন্ডের মতো জলঘূর্ণি, ভুঁই কাঁকুড় চর, আউশভাত আর ডিমঝোলের গন্ধ, তৃষ্ণার ক্যালরি।



#      এ এমন মানবজমিন, শুধু বীজ দিলেই আবাদ হবে না তিনি জানতেন, লালা ও লালনের গার্হস্থ।  স্বপ্নের অন্ত্রের দিকে তর্জনী সংকেত করে তিনি পেশীল বাহু নামিয়ে আনছেন মাটি -- মাটিতর --- মাটিতম বিছানায়.... আর তাঁর বাজুতে আমার মাথা এলিয়ে এবং তলিয়ে যেতে যেতে এতটাই অমানিবিড় যে, চোখ বোজারও আর দরকার নেই....



#      এখন আমি জোয়ারি ঢেউয়ামি থেকে মন খুবলে এনে তাঁর অতল ভাঁটায় হারিয়ে দিচ্ছি একান্ত ভাটিয়ালি.... বন্ধুর নাও নেই, বাড়ি নেই নাড়ি নেই, নারীও নেই কোথাও.... ক্লিক করুন....  ক্লিক করুন অনন্তে..... যেখানে সর্বত্র জুড়ে রয়ে গেছে এক প্রকাণ্ড 'নেই'.....



তৃষ্ণার ক্যালরি বিতৃষ্ণার টক্সিনস ---- ১৪



যেখানে জাহাজগুলো ভিড়বে সেখানে একদিন বাজার বসবে, এটাই আবহমানের ফ্যাক্ট্রাল জিওমেট্রি। ছোট ছোট ফুটপ্রিন্টসে মেরুন প্রচ্ছদের মতো ছায়া, প্রচ্ছদের পাশে সোনালি বর্ডারের মতো রোদ্দুরের নাম হবে সংঘমিত্রা পয়েন্ট। এভাবেই রিসেটলমেন্ট।



#    তাঁর ফ্লোটিং ইগো গাঁইতি ঠুঁকে ঠুঁকে স্তম্ভ ভাঙছে.... ক্যানন ভাঙছে.....


#    অথচ পাথরনারীর খুবলে ভেঙে যাওয়া স্তন থেকে ফিনকি দিয়ে যে রক্ত নামছে, সেখানেই ক্রোমোজোমের দিকে বাড়িয়ে দিচ্ছেন তৃষ্ণার ক্যালরি।  তিনি প্রথমে ক্রোমোস্ট্যাট দিয়ে রক্তপাত বন্ধ করে প্রোল্যাক্টিন ইনজেক্ট করার কথা ভাবছেন।


#    তিনি কি শিল্পী না ডাক্তার?


#    তিনি দিব্যচক্ষে দেখছেন পোয়াতির ছেলে হচ্ছে আর করিডোরে হেঁটে চলা নার্সের অ্যাপ্রন ভিজে যাচ্ছে স্তন উপচানো দুধে। এমন কি তিনি দেখছেন পুরোনো ফাউন্টেনপেন থেকে দুধ উপচাচ্ছে ----- সুলেখা কালি.... তিনি ব্রেকফাস্টে পরিবেশিত কলায় উত্থিত লিঙ্গ, আপেলে স্তন, আঙুরে বোঁটা দেখছেন আর মুসাম্বিরসের যোনিগন্ধে বিভোর হচ্ছেন।


#   তিনি কি  ডাক্তার না পাগল?


#   আমরা তাঁর এই পরমাপ্রাকৃতিক সৃজনচিন্তনকে খুব করে নিন্দেবান্দা করে যাচ্ছি আর তিনি কিছুই ভ্রূক্ষেপ না করে শুধু বাহিত হচ্ছেন.... অতিবাহিত হচ্ছেন....

2 comments:

  1. কবি দীপঙ্কর দত্তের কবিতা নিয়ে এই যে ভাবের ইলাস্ট্রেশন.... এও অপূর্ব জপমালা

    ReplyDelete
  2. ফাটাফাটি লেখা।এটাও ব্যক্তিগত মতে কম বলা হয়।উপরের প্রচ্ছদের ছবিটি অন্য মাত্রা প্রয়োগ করছে

    ReplyDelete

Facebook Comments