উত্তরাধিকার
বিদ্যুৎলেখা ঘোষ
এক পা দু'পা করে চলে এসেছি যতটুকু
দুপাশে রংপুর...
ঝলমল জলধোয়া বিষণ্ণ
অথবা বিপণনের জন্য রঞ্জিত
দেখতে দেখতে হাতে হাত রেখেছি
বৈনতেয় চলনে...
বলবো না কখনোই
এই নীল গ্রহ কেমন বেসেছে
দাগ নিয়ে চলে যাবো জলছাপ রেখে
সবুজের সাথে...
এই ঝিকনো রোদ্দুরই
আমার সবটুকু ছায়াধ্বজ থাক ।।
তোকেই তো ডেকেছি সুমনা
সেদিন কিন্তু আসিস রে মেয়ে
যেদিন এ গর্ভ পৃথিবীতে
বয়ে যাবে তোর পালে হাওয়া
দিগন্ত বিস্তারি হাওরে অপেক্ষা থাকবে
তুলতুলে তোর দামাল পায়ের ছাপ বুকে করে নিতে
ঘন নীল আকাশপথে হবে না অস্ত্র বর্ষণ
নরম কুঁড়ির মতো আঙুল কুড়িয়ে নেবে
কামিনডুবির টলটলে জলের উপর
ভেসে বেড়ানো কলমীর শাক
ভোরের ফুলবাড়ির কত শত বাহার
সুগন্ধে ঘুম ভাঙিয়ে ডাকবে তোকে ডালপালা নেড়ে
মা'কে তোর বিপন্ন বিছিয়ে যেতে হবে না পুরুষের নীচে অনিচ্ছায়
তখন আসিস কিন্তু মেয়ে
নর-পশু মা তোর পথ চেয়ে আছে
অন্ধকারে তার বুকের ভিতরে রক্ত হিমবাহ
কত অযুত বছর ধরে সে যে শিকল পরানো
চেনা হল না তার শরীর এক নারীর শরীর
আলো থেকে আলো জ্বেলে দেবার বজ্র উচ্চারণ
শোনা হল না নারীর হৃদস্পন্দন অসামান্য কিছু বলে
জানা হল না একবার মা হয়ে গেলে সাথীও মা ডাকে নিরাপত্তার আশায়
চলে যাওয়ার আগে কথা দিয়ে যা রে মেয়ে
তুই এসে খুলে দিবি সব আলোর বন্ধ দরজা
সপাটে দেখিয়ে দিবি কে মানুষ আর কে পোকামাকড় ও না ।।
No comments:
Post a Comment