দেবযানী বসু


 

কা়ঁচসাকোর নারীপ্রহর ---১

দেবযানী বসু


দলভারি। দোকানের শিখরঝুরি। দু প্রস্থ শ্রাবণপ্রলাপ ইঞ্জিন রুমে।রুমীরুমী সংলাপের পর্দার নশীনতা নিশানী। কাবাবে ঘাপটিমারা হাড্ডি সেলফোনে। কালো বিড়াল মোটর হাঁপাচ্ছে। ক্লাচ ও ব্রেকের দমঘোট।

বর্ষার সুনামি নিজের অচেনা ছাতাকে কথা বলার সুযোগমালিশে রাখছে। আমাকে বাঁচাতে চুমুরা ছোটাছুটি করে। নরমগদি। গদিগরম।
সবাই হাত চেটে দেখছে স্মৃতিচিপস্ আলুচিপস্ কতোটা স্বাদিস্ট।
রুমীর সচ্চে ইন্সান ঘাড়ে বয়ে বিদেশে বিভুঁইয়ে। বাইনারি ভুল আর ঠিক এর মাঝখানে চ‍্যাপ্টা শুকনো মরিচ। একটু সরে বোসো না। গরম লাগছে
আমাকে বাঁচাও বললে জলধি রসধি দুঃখের ডায়ালিসিস।
রামেজঃ তুমি স্বপ্নিল গ্ৰিনহাউস
জ‍্যাকপলঃ তুমি মরু হরিণের গুস্তাবা।
দেখি আকাশরোয়া মূর্তি। আর তৈরিকালীন সেই সব গন্ডগোল। নথপরানো লিঙ্গ আর যোনি।
কে খুলল বৌদ্ধকোষ... সব নেগেটিভ মেঘ সুরকিরাঙানো... সুর কি ধারা... পাহাড় ফাটিয়ে বেরিয়ে আসছে রাধিকা আপ্তে। সবাইকে বিলিয়ে দিই মিষ্টি ডুমুর। ফুল হবার সময় নেই। আর্লি প্রেগন্যান্সি। আজ গাড়ির প্রথম দিকের আসনে ডিলিসাস আপেল আর কুইন্সির বোতলনাচ। ওদের কলকব্জায় খুব ব‍্যথা।
প্রেম কে লিয়ে সবকুছ দাঁও পর লাগা দে।
আমি রুমীর গিটার হবো। শুনেই বৃষ্টি আর ডাবের জল মিলে মিশে ভ‍্যাট সিক্সটি টু সুইট সিক্সটিন। পাইন বনে ঝড় আর পাইনের মুখ খোলার চেষ্টা। ধীরে বহে গঙ্গা।
প্রসাদের সময়। নারকেল বাদামতক্তি গোলাপি গর্ভের পেয়ারা। আম্রপালিতে ফিরে পা উঁচু মাথা নিচু করা জিরে বিস্কুট আমরা সবাই।

কাঁচসাকোর নারীপ্রহর --- ২


ইঁদারার উপর উপুড় কাঁচসাকোর নারীপ্রহর ২আমরা কয়েকজন। বালতির কর্তব্য মনে ধরি। খারাপ কবিতার মন খারাপ। স‍্যাঁতসেতে কবিতার ঘাটে দাঁড়াই। জ‍্যাকপল কুয়োটাকে মন্ত্র পড়ে বাঁধছে। কুমারজীব এলেন আর একটি কপিকল ভিক্ষা করলেন।
রামেজ সাহেব তা বার করেও দিলেন
গাইডের উষ্ট্রঘোষণা... লবণ ভালোবাসা ক্ষত... ধানধানশ্রী নারী... বিড় বিড় বকা গাড়ির চাকা
ফল্গু ফল্গু খেলতে খেলতে সীতার লেট প্রেগন্যান্সি কারও চোখে পড়েনি। পাহাড় কেটে কেটে জন্মস্থান উলঙ্গ। নারীটি বন‍্যার্ত হোক। মিঠে পাত্তি ভাজা সুপুরি। চ‍্যবনপ্রাশের ঋষি মুনি মুন্সীজী। আপকো আসানীসে রোনা আতা হ‍্যাঁয়। কান্না ফুরোলে কিনবি কি পাগলা খাবি কি । মুন্সীজী পাহাড়ি ফুলের ব্রিফ তৈরি করছেন। বিফচেতনায় অ‍্যাকোরিয়ামের মাছের ককুদ। আমায় ব্রিফ করে দাও। আমায়।
শায়েরির ভুল ভুলাইয়া সাহেবি চিত্রহারে।  . 
দিল টুটেগা তো ফরিয়াদ করোগে তুম ভি    
আজ রুমে তরাই এর রাইকিশোরী।ফ‍্যালো কড়ি মাখো কবিতা ।বন্ধু বুদ্ধদেব যখন প্রচারের আলোয় এলেন। বাইকরাইড। নৈঋতকোণ হুঙ্কার দেয় জয় বাবা জয় বাবা জয় মহাদেবা। পোঁদে পোঁদে ফিরছে নালন্দা নালকের ছেলেবেলা। ধূসর চুলের জেদ ধূপের ধোঁয়া। জেদ কমার অপেক্ষায়। অবগাহন হারিয়ে চোরের তেলের গন্ধে ভুরভুরে করি দোকান।একদা মায়ায় বশীভূত হাতি ও তার বংশধর। তাদের দাঁতের বুদ্ধমূর্তি...   


কাঁচসাকোর নারীপ্রহর --- ৩


সখের কবির ঘূণধরা চেয়ার
ভাঙলেই অ‍্যাসিফেনাক আর দুধেআলতা 'কেমন আছো'র পরতে পরতে শর্ট ফিল্ম
কুরোসাওয়া গিফ্ট করা শাওনভাদোর
মরমিয়া গো কেন এলে না গানের রসুনকোয়া ছাড়ানো তানকারি 
পাহাড় টিলারা সরে সরে যায়
মরমিয়া জানলার ধার ছেড়ে সংসারের আমূল বাটার ছেড়ে রামিজের মরিয়ম বিবি আর শবনম কন‍্যা গাড়ি থেকে নামছে।
ভাদোরের মাদুর কচুপাতায় লেখা কবিসম্মান... অতিথি কবি বৃষ্টি পথে হারিয়ে যায়।
সুজাতামায়ার দেশে প্রাচীন ভিক্ষা পাত্রের ওজন আমার হৃদপিন্ডের সমান। অতিথিশালায় যেখানে ভারি প‍্যাডের দেহাংশ শুকোয় সেখানে পিস্তল টার্গেট হয়ে ঝুলতে চাইছে।মহাযানী দেবযানীদের ফোটোস্ন‍্যাপে মনসাম্মা উৎসব
গাড়ির পিক্সার মুভি দেহ রাখার তালে।জ‍্যাকপল ত্রিশ বছর পিছনে গিয়ে একঘন্টার রেকর্ড করা রবীন্দ্রসঙ্গীত সিডি উপহার দিল। সিডি তো এযাবৎ স্পর্শকাতরমণি হয়ে বেঁচে ছিল। হাঙরের গুহায় আছি। ডরো মৎ।

কাঁচসাঁকোর নারী প্রহর --- ৪


সহযাত্রীরা রুমালি রুটি  দিয়ে আঁসু মোছে। জেরক্স বোধিবৃক্ষের নিচে হানাহানি পুঁতে দিই ভক্তদের। তত্ত্বের বাঁধা বেড়ায় বিদ্যুৎ। গুরুজি ছিটকে যাচ্ছেন।বাতিল নোট করে রাখছি আগামি জীবন।
শিকড়ের আদেখলে মাটি।
আই ব‍্যাঙ্কের ফরমালিনে ভেজা চক্ষু - কাঁদছে। মিতাশ্রী পত্মী। তার ধূসর বিড়ালিনী ছায়া। এক ঝড় আলো এসে গপ  করে গিলেছে জ‍্যাকপলকে। হাজার হাজার সিএনজি চলাচল। কার জন্য ফেলে রাখব ঝুরঝুরে কবিতা।  আই.টির  শিব রঞ্জনী  রাগ। আমি গল্পাবতার। দূরত্ব ঘাসচরা মাঠ। অন্ধের আলোছায়া দিয়ে বুঝি এক গ্লাস পানি কিংবা মোজার অন্যটির অভিমান।
ঘরোয়া হিংসার টবে চুল্কানি। সারাদিন হরবখত দেয়ালে ড্রিলিং আওয়াজ। আমাদের চোখে সোনাজেতা ডোপের ভয়। ঘুম ভাঙলে ঘর অচেনা।স্বপ্ন শ্বাস চেয়েছে। ড্রিলিং ছাড়া শ্বাস উঠে আসে না।
শবনমের চাকরি পাওয়ার খবর এসেছে। রামিজের আলিবাবা ভোজ। কাচ্চি বিরিয়ানির রঙে বদলাচ্ছে ছাদ ছোঁয়া আকাশ।
বিদিশার নারীদের চুল পোড়া গন্ধ হাতে লেগে আছে। এক মিউজিয়াম ছবি চালানিত। প্রত‍্যুত্তরহীন। আঙুলে টার্মিনোলোজির অসুখ। কবিতার ঝুরোমি। প্রকল্পের কুমির দরজায় কড়া নাড়ছে। প্রতি হাজার মানুষে একটা কুমির! বলো কি নন্দলাল।
ফিরে এসো বাড়ি কাল। কুমিরের ফুসফুসে আস্থা রাখি।

কাঁচসাঁকোর নারী প্রহর --- ৫


বিশ্বাসের কাঁচে পারদ মাখাই।কবে থেকে চোখ পেতে নলখাগড়ার ডানায়। নিপ্পন কোণে উত্তরজানা ঘোড়া যাওয়ায় চিলতে পথে ধনুষ্টংকার লাগা মন। ভাবিজী দিঘিতে মাছ ধরার পালা মাছরাঙার। হঠাৎ বুঝতে পারা এ আমি নই সেই আমি।বরফদানব = ফ্রিজ। শিশুবোধিকাল কাটে নি বোধিবৃক্ষের। জ‍্যাকপল আর আমি ঘোড়ায় চড়ে চলেছি। আর যাত্রীরা মুক্তমনা। কুহেলি কবিতার গায়ে ধূমকেতুর ভালোবাসা।বাদলে মাদল বাজে। বাজে ধানের ফুল।
পৃথিবীতে এখন পথ কম মত বেশি। উল্টো প্রীতি জানতে চাইছে ক্রশ স্টিচে বোনা ঘর। নীল চোখের মাছ। খালি খালি রেসের চ‍্যাম্পিয়ন। হৃদয়ে বসিয়ে দিচ্ছে জারমিন হার্ট রেট মনিটর। আল্ট্রা ম‍্যারাথনে কোথাও 'না' বসাই নি। নিজেকে স্বাধীন সাঁকো করে আঁকি। হুজুরবর্ষ  শেষ। আম্রপালি উদ‍্যানবাটি পলিক্লিনিক।অতীশ দীপঙ্কর সোপান বেয়ে নামলেন। অতীতের মাটি স্মৃতির টেরাকোটা। ভিগা চনকপাত্র।
কাঁচের সাঁকোর ওপারে  মসলিন কুয়াশার প্রিয় মানুষ। স্পিনাজ পাকা পেঁপে কিউয়ি স্মুদি আদা লেবুর স্বাদে শমে এসে থামলো দিন। আ-আগামিকাল
আহা যন্ত্রণার শুরু। পায়োরিয়া খসছে সময় থেকে। উড়ান খটোলায় ফিরে আসা। এইসব ফেলে যাওয়া উল্টো গাওয়া লং প্লেয়ার আত্মার প্রায়। কিরানা কিনারা  ছুঁয়ে বেঁচে থাকার রাজস্থানী ছবি। নীল শহরের বিবিসাগর।যমুনাবিবি। লিভ ইনের পিয়াঁজ রাঙা প্রহর। আর সু়স্বাস্থ্যময় গোঁফ চরকি বাজি করছে। অবিক্রিত। অনীলামিত। অচন্দ্রস্পশ‍্যা।

3 comments:

  1. দারুণ লাগল। আপনার শব্দচয়ন, বিন্যাস অন্যরকম। বারবারই খেয়াল করেছি। এই কবিতাগুলোও অসম্ভব ভালো লাগা ছড়িয়ে দিল। খুব ভালো দিদি।

    ReplyDelete
  2. দারুণ গো।শব্দগুলো এত গতিতে এগোচ্ছে : স্পষ্ট বুঝতে পারছি নিউরোটিক্ বিক্রিয়া

    ReplyDelete

Facebook Comments